কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন নাপিতখালী গ্রামের ইমরান (১৯)। গতকাল বুধবার রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইমরান দামুড়হুদা ওদুদ শাহ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে নাপিতখালী গ্রামের মো. জাহান নবীর একমাত্র ছেলে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত শুক্রবার দুপুরের পর বন্ধুদের সাথে মোটরবাইকে ঘোরার জন্য পাশের গ্রাম পাটাচোরায় যায়। পরে মোটরসাইকেলেযোগে একা বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা মারে। এসময় মোটরসাইকেল থেকে আছড়ে পড়ে রাস্তার ওপরে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ইরমান। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন পিতা-মাতা। পরিবারের লোকজন জানান ইমরানের শখ ছিলো সেনাবাহিনীর চাকরি করার। এবার সৈনিক পদে যোগদানের জন্য সেনাবাহিনীর মাঠে দাঁড়িয়েছিলো। তবে শেষ ধাপ অতিক্রম করার জন্য ওয়েটিংয়ে ছিলো। ইমরান দামুড়হুদা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে। ৩ ভাই বোনের ভেতর সে সবার ছোট। আজ নাপিতখালী গ্রামের কবরস্থানে জানাজা শেষে তার মরদেহের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।