আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ভেজাল জিঙ্ক ও বোরন সার বিক্রির দায়ে আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া বাজারের সার ব্যবসায়ী আনারুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অভিযানকালে আনারুল ইসলামের দোকান থেকে প্রায় ৬৪০ কেজি ভেজাল- নকল জিঙ্ক সার উদ্ধার করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এ জরিমানা করা হয়। এ নকল-ভেজাল জিঙ্ক ও বোরন সার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে সার ব্যবসায়ী আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নকল-ভেজাল জিঙ্ক ও বোরন সার বিক্রির অভিযোগ ছিলো। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারের আব্দুল গাফফারের গোডাউন ভাড়া করে নকল-ভেজাল সার মজুদ করে তা এলাকাসহ কুষ্টিয়া এলাকার বিভিন্ন বাজারে মোটরসাইকেলে নিয়ে বিক্রি করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অভিযুক্তের গোডাউনে অভিযান চালান। এ সময় গোডাউন থেকে ৬৪০ কেজি নকল-ভেজাল জিঙ্ক ও বোরন সার জব্দ করা হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আনারুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত নকল-ভেজাল সার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ধ্বংস করতে বলা হয়।
এদিকে, আনারুল ইসলামের সাথে ভেজাল-নকল সার ব্যবসার সাথে উপহসকারী কৃষি কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দীনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার অনেকে। অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা যে ঘটনাস্থলে অভিযান চালাতে যাচ্ছেন তা আগেভাগেই আনারুল ইসলামকে বলে দিয়েছিলেন। যার ফলে গোডাউন থেকে অনেক ভেজাল-নকল সার আনারুল ইসলাম অন্যত্র সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
নকল সার ব্যবসার সাথে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দীনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলফোনে রিং দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, একই সময়ে হাটবোয়ালিয়া বাজারের দিশান স্টোরকে পাটজাতমোড়ক বাধ্যতামূলক আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ