সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান
স্টাফ রিপোর্টার: ‘সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে সুধী সমাজকে পাশে রেখে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন তরান্বিত করতে চাই। জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছি। জেলা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেললেবেল ক্রসিঙে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয় সেটাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখবো। এছাড়া শহরে জানজট নিরসনসহ যেখানে যা করার সবই করার ইচ্ছে রয়েছে। বাস্তবায়নে সাংবাদিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’
চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ যাতে পূর্ণতা পায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌর পরিষদকে সাথে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ডিসি ইকোপার্কের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। শহরের বাইপাস সড়ক নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করা হবে। মনে রাখতে হবে, সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পরিচিতিসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, এনডিসি জাকির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সদস্য প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক ইসলাম রকিব, সদস্য একাত্তর টিভি প্রতিনিধি এমএ মামুন, সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সহ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদসহ উপস্থিত অনেকেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
নবগাত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে ক’দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে। পুনঃ পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি। শুরুতেই মূলত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছে ছিলো। ক’দিন পর সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে ভালো লাগছে। জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপালনে প্রতিটি কাজে স্বচ্ছ্বতা রাখার চেষ্টা থাকবে। সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনের মাধ্যমে উন্নয়ন তরান্বিত করতে কোনোপ্রকার গাফিলতি চলবে না। অবশ্যই সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারি হাসিমুখে সেবা দেবে। জেলা প্রশাসনের সকলকে হাসিমুখে সেবা প্রদানের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়ম দূর করনেও সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।