কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ আহরণের অভিযোগ এনে দুদকের করা মামলায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের স্ত্রী কলেজ শিক্ষক মোছা. কামরুন্নাহার (৪৫) আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনাবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এই জামিনাবেদন শুনানী করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গেলো বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদি হয়ে দেয়া এজাহারের অভিযোগ, ১৯৯৪ সালের ১ অক্টোবর হতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর সময়কালে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও স্ত্রী কামরুন্নাহার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৫২ লাখ ১৬ হাজার ৫শ ৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। সেই সাথে অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ বিভিন্ন জনের কাছে হস্তান্তর ও রূপান্তরসহ স্থানান্তর করে ২০০৪ সালের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২র ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ সংগঠনসহ দ.বি. ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিবাদী পক্ষের কৌশুলী অ্যাড. শেখ মো. আবু সায়িদ বলেন, এই মামলায় বিবাদী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার সংশ্লিষ্ট নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনাবেদন করার কথা ছিলো। বিজ্ঞ আদালত জামিনাবেদন শুনানী শেষে বিবাদী মোছা. কামরুন্নাহার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে উচ্চ আদালতে যাবো।
উল্লেখ্য এর আগে এই মামলার অপর বিবাদী কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম (৫২) উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত অন্তবর্তী জামিন শেষে সংশ্লিষ্ট নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে প্রেরণ করেছিলেন। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন। একইভাবে প্রকৌশলী পত্মী কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের শিক্ষক মোছা. কামরুন্নাহারও জামিনে ছিলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ