বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে বিদ্যুত শর্টসার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসত ঘর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। পরণের কাপড় ছাড়া কোনোকিছুই অবশিষ্ট নেই পরিবারগুলোর সদস্যদের। কনকনে শীতে তাদের রাত কাটছে মেহগনি বাগানের গাছের নিচে। শীতের পোশাকসহ মানবিক সহযোগিতা অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডে লিজ ফেরত নগদ দেড়লাখ টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যুত শর্টসার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে বারেকের ছেলে আবু বক্করের ঘরে। সে ঘরের আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার দু’ছেলে প্রতিবন্ধী আব্দুস ছামাদ ও নাজিমের ঘরে। এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই মুহূর্তের মধ্যে ৩টি বসত ঘর পুড়ে সম্পূর্ণরুপে ছাই হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনটি পরিবারের ১০ জন সদস্যের শুধুমাত্র পরণের কাপড় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। আবু বক্কর জানান, কোথা থেকে হঠাত কি হয়ে বুঝতে পারলাম না। ছোট ছেলেকে বিদেশ পাঠাবো বলে তার জন্য জমি লিজ ফেরতের নগদ দেড় লাখ টাকা ঘরে রাখা ছিলো। সেটাও গেছে। পরনের পোশাক ছাড়া ঘর থেকে কোনোকিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। এ অগ্নিকাণ্ডে আমারসহ দু’ছেলের প্রায় ৮ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এখন মাথাগোজার ঠাঁই নেই। এদিকে কনকনে এ শীতে তিনটি পরিবারের ১০ জন সদস্য গ্রামের আশার মেহগনি বাগানে আশ্রয় নিয়েছে। শীতের পোশাকসহ পরিবারগুলোর মানবিক সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ছুটে গিয়ে অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায় এবং তাৎক্ষণিক কয়েক পিস কম্বল দেয়া হয়। সকাল হলে সাধ্যমতো সহায়তা প্রদান করা হবে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ