চুয়াডাঙ্গার খেজুরতলায় কবরস্থানের জমি কেনার চাঁদা না দেয়ায় দাফন হলো না বৃদ্ধার
কবর খোড়ার সময় বাধা : বৃদ্ধার দাফন হলো ক্যানেলের পাশে
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে বৃদ্ধ মহিলার লাশ দাফনে বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে খেজুরতলা গ্রামের মৃত বরকত আলীর স্ত্রী মদিনা খাতুন (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রাত ৯টার দিকে গ্রামের সরকারি কবরস্থানে লাশের দাফন করতে গেলে মাজার কমিটির এক সদস্য লাশ দাফনের বাধা দেন।
সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদককে কাছে মৃত মদিনা খাতুনের জামাই রিপন আলি অভিযোগ করে বলেন, আমার শাশুড়ির কোন ছেলে সন্তান না থাকায় আমি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকি। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে আমার শাশুড়ি মারা গেলে কবরস্থান কমিটির সভাপতির অনুমতি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে করে কবর খুড়তে যায় ও কবর খুড়ে লাশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। রাত ৯টার দিকে উক্ত কবর কমিটির সদস্য জামিরুল ইসলাম তাদের কবর খুড়তে নিষেধ করে হুমকি দেয়। তারা কবরে মাটিভরাট করে ফিরে আসে। ঘটনাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। অনেকেই এই ঘটনার ধিক্কার জানাতে থাকে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামের ক্যানেলের পাশে রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তির জমিতে কবর খুঁড়ে দাফন সম্পন্ন করে গ্রামবাসী। তিনি আরও বলেন, কবরস্থানের জমি ক্রয়ের সময় চাঁদা না দিতে পারায় দাফন কাজে বাধা প্রদান করেছে।
এ ব্যাপারে গ্রামের অনেকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানাই, সরকারি কবরস্থানে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজের বাধার ঘটনা আসলেই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এই ঘটনার নিন্দা জানান তারা।
এ ব্যাপারে কবরস্থান কমিটির সদস্য জামিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামে পক্ষবিপক্ষের সৃষ্টি হয়। আমি কাউকে কবর করতে নিষেধ করিনি এটা গভীর ষড়যন্ত্র।
কবরস্থান কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, গ্রামের লোকজনদের কাছে থেকে টাকা তুলে কবরস্থানের জমি ক্রয় করা হয়েছে। গ্রামের প্রতিটা লোকের মৃতদেহ সেখানে দাফনের অনুমতি রয়েছে।