স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারে নারী পর্যটককে গণধর্ষণের হোতা আশিকুল ইসলাম আশিক ধীরে ধীরে অপরাধ জগতের গডফাদার হয়ে উঠেছেন। জেলার সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা আশিকের নেতৃত্বে অন্তত তিন ডজন অপরাধীর চক্র এখন সক্রিয়। অভিযোগ রয়েছে যে, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তার এই বাড়বাড়ন্ত। পর্যটন এলাকার ত্রাস বলা হয় তাকে। পুলিশ বলছে, কেবল কক্সবাজার সদর থানায়ই অস্ত্র, ইয়াবা, ছিনতাইসহ অন্তত ১৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাঝেমধ্যে কারাগারে গেলেও বের হয়ে আবার অপরাধ জগতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন এই আশিক।
শহরের কটেজ জোন লাইটহাউস সরণিতে যৌনপল্লী হিসাবে কয়েকটি কটেজে তার নিয়মিত আসা-যাওয়া রয়েছে। সেখানকার অর্ধশতাধিক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ এই আশিক এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
এসব কটেজে আসা শতাধিক পর্যটকসহ কটেজ ও কর্মচারীদের উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার হাত থেকে বাদ যাননি পুলিশও। মৌখিকভাবে এসব বিষয়ে কটেজ ব্যবসায়ীরা পরিচিত পুলিশ সদস্যদের কাছে নালিশ করলেও তাতে কাজ হয়নি। তবে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে বা ভয়ে আশিকের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে সাহস পায়নি। জানা গেছে, লাইটহাউস সরণি এলাকার অর্ধশতাধিক কটেজে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে দিনরাত। এসব কটেজে নারী ছাড়া হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মরণ নেশা ইয়াবা।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায়ই রাত সাড়ে ৯ থেকে ১২টা পর্যন্ত একাধিকবার তাদের কটেজে হানা দেয় আশিক ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। অনেক সময় পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য আসা তরুণীদের মারধর করে তাদের মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সুন্দরী মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করা ছিলো আশিকের নেশা। জানা গেছে, গত দেড় মাসে অন্তত ৫০ বারের বেশি এসব কটেজে হানা দিয়েছেন আশিক। প্রত্যেক বারই ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো না কোনো তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন আশিক এবং তার সঙ্গীরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল রানাকে অব্যাহতি
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ