বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সভা – ৪ ডিসেম্বর নয় জীবননগর মুক্ত হয় ২৮ নভেম্বর

জীবননগর ব্যুরো: মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জীবননগরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুতিমূলকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তিযোদ্ধাগণ দাবি করে বলেন, জীবননগর প্রকৃতপক্ষে হানাদার মুক্ত হয় ২৮ নভেম্বর, ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় এ তথ্য সঠিক না-ভুল। ২৮ নভেম্বর জীবননগর হানাদার মুক্ত প্রকৃত এ তথ্য মিডিয়ায় তুলে ধরার জন্য আমরা সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিজয় দিবস পালনের এ প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার দলিল উদ্দিন দলু, উথলী ইউনিয়ন কমান্ডার মুজিবুর রহমান, সীমান্ত ইউনিয়ন কমান্ডার হায়দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা জাকজমকপূর্ণভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, অনতিবিলম্বে জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দেয়ার দাবি করা হয়। সভায় ৪ ডিসেম্বর জীবননগর মুক্ত দিবস নিয়ে কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধাগণ। বলেন, জীবননগর প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় ২৮ নভেম্বর। ২৭ নভেম্বর আমরা যুদ্ধ করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ২৮ নভেম্বর বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করি। এদিন হাবিবুর রসুলকে প্রশাসক ও মজিবর রহমানকে থানা ইনচার্জ করে বে-সামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়। জীবননগর মুক্ত হওয়ার পর ৪ ডিসেম্বর দর্শনা মুক্ত হয়। অথচ ৪ ডিসেম্বর জীবননগর মুক্ত দিবস হিসেবে যা পালন করা হচ্ছে তা ভুল। আমরা ২৮ নভেম্বর জীবননগর মুক্ত দিবসের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে তা পালনের জন্য সাংবাদিক ভাইয়ের মাধ্যমে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনী তুমুল যুদ্ধের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ২৮ নভেম্বর ভোরে পরাজিত করে জীবননগর মুক্ত করা হয়। এ দিন প্রত্যুষে উত্তোলন করা হয় লাল সবুজের মাঝে মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন দলু বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনো কমিটি নেই। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More