রতন বিশ্বাস: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটিকে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় জাতীয় পতাকার বিক্রির ধুম পড়েছে। ফেরিওয়ালারা কার্পাসডাঙ্গাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের। আমরা পেয়েছি লাল সবুজ পতাকা। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই কার্পাসডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে পতাকা। ফেরিওয়ালাদের কাঁধে কাঁধে উড়ছে নানা আকারের জাতীয় পতাকা। ডিসেম্বরকে ঘিরে পতাকা বিক্রি করতে এসেছে অনেক মৌসুমী ফেরিওয়ালারা। আগামী কয়েকদিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে ধারণা তাদের। কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী ও সচেতনব্যক্তি মতিউর রহমান বলেন, বিজয়ের মাসে পতাকা হাতে নিতে এক রকমের আবেগের অনুভূতি হয়। বাঙালির জাতীয় জীবনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন আসে, যখন দেশপ্রেম পরিণত হয় বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে। আর এ জাতীয় পতাকার আদর্শ ধারণ করতে নানা রঙের পতাকা কিনছেন এলাকাবাসী। আর তাদের হাতে পতাকা পৌঁছে দিতে কেউ কেউ ফেরি করছেন। এ পতাকা ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি সম্মানের। যে বিজয় সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে আসা যুবক বলেন, সারাবছর অন্য কাজ করি। কিন্তু ডিসেম্বর মাস এলে প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করি কারন এ মাসে পতাকার চাহিদা বেশি থাকে। তাই এ কাজ করছি। মাসজুড়ে মানুষের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে যদি দুটি মানুষের মাঝে বিজয়ের চেতনা জাগাতে পারি তাতেই সার্থকতা। পতাকার এই চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন দামে পতাকা বিক্রি করি পথে পথে।