স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় মেহেদী হাসান মিলন ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে খ্রিস্টানপল্লির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় স্কুলছাত্রীর পিতা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মেহেদী হাসান মিলন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মিশনপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে ও স্থানীয় একটি পত্রিকার কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। ওই স্কুলছাত্রী কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মিশনপাড়ায় খ্রিস্টানপল্লির এক স্কুলছাত্রীক (১৭) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম নিবেদন করে আসছিলো মেহেদী হাসান মিলন। স্কুলছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ও হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি স্কুলছাত্রী পিতা জানতে পেরে মেহেদী হাসান মিলনকে মেয়েকে বিরক্ত ও উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করে। এরপর থেকে আরও বেশি উত্যক্ত করতে থাকে সে।
গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রী আপন বড় চাচার বাড়ি যাচ্ছিলো। এ সময় মেহেদী হাসান মিলন ও খ্রিস্টান পল্লির জগো লাহিড়ীর ছেলে তিতাস লাহিড়ী (৩০) স্কুলছাত্রীকে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে অচেতন করে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে। পরে এলাকার মতিয়ার ইটভাটার পাশে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে দুজন ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, মেহেদী হাসান মিলন একজন নারীবাজ, খারাপ প্রকৃতির। সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে এলাকায় বহু অপকর্ম করে বেড়ায়। কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারে না।
দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ