জীবননগরের মেদিনীপুর গ্রামে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান : ১২টি সোনার বারসহ চোরাকারবারী শাহাবুল আটক
জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামে চোরাচালন বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৩৯৭ গ্রাম স্বর্ণসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই স্বর্ণসহ শাহাবুল ইসলাম নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. শাহাবুল ইসলাম (৪৪) জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। গতকাল রাত পৌনে ১২ টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জব্দকৃত স্বর্ণসহ আটককৃত চোরাকারবারী শাহাবুল ইসলামকে জীবননগর থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ছিনো। জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৮৬ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১ টায় বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিশ্চিত করেছেন।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত মেদিনীপুর বিওপির নায়েক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি টহল দল জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের খালপাড়া ব্রীজের ওপর চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালান। এ সময় সন্দেহভাজন শাহাবুল ইসলাম কৌশলে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরবর্তীতে শাহাবুল ইসলামের শার্টের পকেট ও প্যান্টের দুই পকেটে অভিনব কায়দায় কসটেপ দিয়ে আটকানো ৩টি প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. শাহীন আজাদ (বিপিএম, পিপিএম, পিএসসি, জি+) জানান, আটক শাহাবুল ইসলামসহ পলাতক হরিহননগর গ্রামের মো. রাশেদ আলী (৩০) এবং মো. ওয়াসিম মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, দির্ঘদিন ধরে ঢাকা-কালিগঞ্জ হয়ে জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার হয়ে আসছে। জীবননগরে ৪-৫ টি স্বর্ণ চোরাচালানের সিন্ডিকেট রয়েছে। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে খুব সহজে এই রুট দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার করা যায়। এ কারণে স্বর্ণ চোরাচালানীরা জীবননগর রুট বেশী ব্যবহার করে থাকেন। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বন্ডবিল নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আড়াই কেজি স্বর্ণ এবং তিন জন স্বর্ণচোরাচালানীসহ একটি প্রাইভেট কার আটক করে। পরে আটককৃতরা আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা ছয় জনের নাম প্রকাশ করে।