কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন জাসদ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার রাতে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় বারুইপাড়া ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থিত আহতরা হলেন সুজাত আলী, মিলন হোসেন, তাহাজ্জত আলী, ওমর ফারুক, চঞ্চল আহমেদ, রানা আলী, ছলিম ম-ল, মারুফ হোসেন, নাসির উদ্দীন, রকি, জিএম। তাদের মধ্যে ওমর ফারুক, চঞ্চল আহমেদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে একতারপুর গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মন্টুর কর্মী-সমর্থকদের ওপর বারুইপাড়া ইউনিয়নের জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালান। ঘটনাস্থলে ৮ থেকে ১০ জনকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর চালান তারা। হামলায় আওয়ামী লীগের ১০ কর্মী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, ২৫ থেকে ৩০টি মোটর সাইকেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী ও নৌকার সমর্থকদের ওপর জাসদ সমর্থকরা হামলা চালায়। কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বারুইপাড়া ইউনিয়নের জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মী, নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মন্টুর সমর্থকরা প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা প্রথমে আমাদের কবরবাড়ীয়া ও একতারপুর অফিস ভাঙচুর করে। প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের লোকজনকে মারধর ও অফিস ভাঙচুর করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা করতে দিচ্ছে না বলে জানান তিনি। মিরপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
জীবননগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আলোচনাসভা
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ