স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডারসহ তিনজন গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহীতে রেফার্ড করেন। আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খোরদ গ্রামের মৃত রমজান ম-লের ছেলে মেহেরপুর জেলার বামন্দি ফায়ার স্টেশনের টিম লিডার সৈয়দ আলী (৫৫), সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে পাখিভ্যান চালক মোস্তফা কামাল (৩১) ও ভিমরুল্লাহ গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত সুরত আলীর ছেলে ট্যাংরা মিয়া (৫০)।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ট্যাংরা মিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের নিকট সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় পেছন থেকে ইঞ্জিনচালিত অবৈধ কলা বোঝাই আলমসাধু তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্যাংরা মিয়া ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অপরদিকে, প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পাখিভ্যান চালক মোস্তফা কামাল ও যাত্রী মেহেরপুর বামন্দি ফায়ার স্টেশনের টিম লিডার সৈয়দ আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সৈয়দ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে সৈয়দ আলী চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার থেকে একটি পাখিভ্যানযোগে ভালাইপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় আলুকদিয়া তেলপাম্পের নিকট পৌঁছুলে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-৫৫০০) পাখিভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে চালক ও যাত্রী সৈয়দ আলী গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেটকারটি জব্দ করেন এবং চালক জাকির হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়। আটককৃত চালক জাকির হোসেন নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। এদিকে গতকাল রাত ১০ টার দিকে আহত সৈয়দ আলীর শ্যালক বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর ওই মামলায় চালক জাকির হোসেনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, আহত সৈয়দ আলীকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং ট্যাংরা মিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া মোস্তফা কামালের অবস্থা শঙ্কামুক্ত হওয়ায় হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন পিপিএম বার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় পাখিভ্যান যাত্রীর শ্যালক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রাইভেটকারটি জব্দ ও চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেহেরপুর বামন্দি ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার ইসহাক আলী বিশ্বাস বলেন, আহত সৈয়দ মিয়া বামন্দি ফায়ার স্টেশনের স্টেশনের টিম লিডার হিসেবে কর্মরত। তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাদের স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ