কুষ্টিয়ায় সাবেক এক চিকিৎসা কর্মকর্তার মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম রোববার বেলা ২টায় এ রায় ঘোষণা করেন। তাছাড়া আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত মো. আসাদুজ্জামান ওরফে ফিরোজ (৪১) কুষ্টিয়ার সরকারি টিবি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ছিলেন। জেলার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর বাহাদুরপুর কারিকরপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে তিনি। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে ছিলেন। তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আরও দুই আসামীকে বেকসুর খালাশ দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার জিয়া সড়কের নাহারুল মালিথার মালিকানাধীন করাত কলের মোটর ঘরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে দুই হাজার ইয়াবা ও ফিরোজসহ তিজনকে আটক করা হয়। পরে মিরপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বাবু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন বাবু তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আদালতে।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, মাদক সরবরাহ ও কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় মো. আসাদুজ্জামান ওরফে ফিরোজকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাকে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জয়নাল আবেদিন ও নাহারুল ইসলাম নামে দুই আসামিকে আদালত বেকসুর খালাশ দিয়েছে বলে জানান পিপি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ