স্টাফ রিপোর্টার: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আগামী বছরের জানুয়ারিতে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ওই সার্চ কমিটি গঠন করবেন। চার সদস্যের নাকি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। পূর্বের ন্যায় সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগেই এই সার্চ কমিটি গঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, কোভিডের কারণে এখন নতুন আইন করে ইসি গঠনের সুযোগ নেই। এর আগে গত ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন ইসি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন।
সংবিধানে বলা আছে, কমিশন-সংক্রান্ত একটি আইনের অধীন রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেবেন। তবে গত ৫০ বছরেও এই আইন প্রণয়ন সম্ভব হয়নি। ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে চার সদস্যের সার্চ কমিটি করেছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ছয় সদস্যের কমিটি করেছিলেন। তিনি প্রথমবার সার্চ কমিটিতে একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করেন। ইতিমধ্যে সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধও তৈরি হয়েছে।
আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে প্রথমবার গঠিত সার্চ কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ও কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) পদধারী ওই কমিটিতে ছিলেন। দ্বিতীয়বার গঠিত সার্চ কমিটিতে উপরোক্ত চার জনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দুই জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীন আখতার। দুইবার গঠিত সার্চ কমিটির দুইবারই প্রধান ছিলেন তৎকালীন আপিল বিভাগের বিচারপতি ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের আমলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আসে। ওই সময়ে ইসি গঠন নিয়েও একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে তাদের ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয়নি। ২০১১ সালের ২৯ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনার নিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনের বিধান যুক্ত হয়। এর আগে কমিশনের সদস্য সংখ্যা নির্দিষ্ট ছিল না।
পূর্ববর্তী পোস্ট
বর্তমান চেয়ারম্যান সব বাদ : গাংনীর ৫ ইউনিয়নে আ.লীগের নতুন মুখ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ