চুয়াডাঙ্গায় ১১ দিন পর উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে শাহিন (৩৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শাহিন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। টানা ১১ দিন করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হলো।
মৃত্যুর বিষয়টি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম। তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর রাতে শ্বাসকষ্ট ও লাং এর সমস্যা নিয়ে (ইয়োলো জোনে) হাসপাতালে ভর্তি হন শাহিন। বুধবার ৬ অক্টোবর সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হয়। এ দিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০৯ জন। সর্বশেষ ৭ সেপ্টম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে জেলায় ১৮৯ জন এবং জেলার বাইরে ২০ জন মারা গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার ৩১ নমুনা সংগ্রহ করেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৪। এ দিন ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট ২৯ হাজার ৭৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ সময় কারোর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৮৪৪ জনে। এ দিন কেউ সুস্থতার সনদ পাইনি। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ৬ হাজার ৫৭৭ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন একজন এবং বাড়িতে রয়েছেন ১০১ জন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, বুধবার দুপুরে হাসপাতালের হলুদ জোনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন।