স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের বিদায় ও নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন পিপিএমকে (বার) সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার আয়োজনে থানা প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ছিলেন একজন দক্ষ ও বিচক্ষণ অফিসার ইনচার্জ। এতোদিন তিনি সক্ষমতার সাথে থানা পরিচালনা করেছেন। অনেক কঠিন সমস্যাও সাবলীলভাবে সমাধান করেছেন। আশাকরি তিনি যেখানেই যাবেন সেখানেই ভালো কাজ করবেন। একইসাথে তার স্থলাভিষিক্ত যিনি হলেন তিনিও একজন বিচক্ষণ অফিসার ইনচার্জ। আশা করছি তিনিও খুব সুন্দরভাবে থানা পরিচালনা করবেন।
বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, আমি গত আড়াই বছরের বেশি সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা পুলিশের জনবান্ধব কাজে সবসময় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। যার কারণে যে কোনো পরিস্থিতিতে কাজ করে সফলতা আনা সম্ভব হয়। নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন পিপিএম (বার) চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এলাকায় জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক সকল দফতর প্রধান, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মুন্না বিশ্বাস। আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকরুল আলম, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, আলুকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিক, সমবায় নিউ মার্কেটের সভাপতি ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইল, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, পরিদর্শক (অপারেশন) একরাম হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই আহসানুর রহমান।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন পিপিএম (বার) পুলিশ বিভাগে একজন সাহসী অফিসার হিসেবে পরিচিত। সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিকবার পেয়েছেন পিপিএম পুরস্কার। এছাড়াও আইজিপি ব্যাচসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ওসি মোহাম্মদ মহসীনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। ২০০১ সালে শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে সারদায় যোগ দেন তিনি। এরপর ২০০২ সালে যোগ দেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে ও ২০০৩ সালে একই পদে যোগ দেন নড়াইল সদর থানায়। সেখান থেকে ২০০৫ সালে এসআই হিসেবে যোগ দেন সিএমপির (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন) খুলশী থানায়। এরপর গোয়েন্দা বিভাগ ঘুরে সেখান থেকে কোতোয়ালী থানায় কিছুদিন কাজ করার পর যোগ দেন ফের গোয়েন্দা বিভাগে। সেখান থেকে বোমা নিস্ক্রিয়করণ প্রশিক্ষণ নিতে সিএমপির পক্ষ থেকে তাকে পাঠানো হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেড় বছর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরে তিনি সাব-ইন্সপেক্টর থেকে পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান ২০১৩-তে। ওই বছর ৫ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) হিসেবে যোগ দেন সিএমপির বাকলিয়া থানায়। পরে বায়েজিদ ও কোতোয়ালীসহ বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি সিএমপির ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ