স্টাফ রিপোর্টার: প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার চক্রের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা লুটপাটের প্রমান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মধ্যে ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন ভয়াবহ তথ্য পায় দুদক। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসাবে ব্যবহার করে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন পিকে হালদার।
প্রসঙ্গত, ফাঁস ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের কোনো পদে ছিলেন না পিকে হালদার। তবে রহস্যজনক কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানের সবকিছুই তিনি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন। আলোচিত এ ব্যক্তি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ছিলেন।
জানতে চাইলে দুদক কমিশনার ড. মোজ্জাম্মেল হক খান বলেন, ‘অনুসন্ধান কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। তাদের যথাযথ নির্দেশনাও দেওয়া আছে। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন কর্মকর্তা কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর তা পর্যালোচনা করে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পিকে হালদার চক্রের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ১৫টি মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া পিকে চক্রের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের আরও অভিযোগের অনুসন্ধান কাজ চলছে। ২০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ওই অর্থ লোপাটের ঘটনায় পৃথকভাবে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কমিশনের অনুসন্ধান টিম মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শিগগির ওই প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে। এরপর অনুমোদন সাপেক্ষে মামলা হবে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন একটি টিম পিকে চক্রের দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ