চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক পদধ্বনি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
আমরা সঙ্কটে বা হতাশায় সাহিত্যের সান্নিধ্য পাই
স্টাফ রিপোর্টার: ‘বুদ্ধি দিয়ে নয় কবিরা লেখালেখি করে থাকেন হৃদয় দিয়ে। তাই তারা সাধারণ মানুষের কথা বলতে পারেন। আমরা আনন্দে বেদনায় সংকটে বা হতাশায় সাহিত্যের সান্নিধ্যে আলোকিত হই, উদ্ভাসিত হই। লেখালেখি করতে হলেই আমাদেরকে বেশি বেশি পড়তে হবে। তাহলেই আমরা আলোকিত মানুষ হতে পারবো।’ কথাগুলো বলেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত সাপ্তাহিক পদধ্বনি আসরে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি তার বক্তৃতায় বই পাঠের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে আলোকিত সমাজ গঠনে তিনি সাহিত্য পরিষদের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরের শহীদ আলাউল হলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর ‘পদধ্বনি’ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪২৬তম এই আসরে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই সূচনা বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান ম-ল। স্বরচিত লেখা পাঠ করেন আবু আফজাল সালেহ, ইব্রাহিম খলিল, আহাদ আলী মোল্লা, আব্দুল কুদ্দুস, ইউনুস সরদার, মুরশিদ আলম, নুরুল আলম বাকু, নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আনছার আলী, হারুন অর রশীদ, বশির আহমেদ হিটু, ডা. তোফাজ্জল হোসেন, হেলাল হোসেন জোয়ার্দ্দার, গোলাম কবির মুকুল, হোসেন মোহাম্মদ ফারুক, আব্দুল আলীম, অমিতাভ মীর, কাউসার লাল, সুমন মালিক, মেহের নিগার, আশিকুজ্জামান আসাদ, সুমন ইকবাল ও কবি নজমুল হেলাল। চিরায়ত সাহিত্য থেকে কবিতা আবৃত্তি করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অ্যাড. বজলুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ ও আয়েশা অর্থি। পঠিত লেখার ওপর আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহয়োগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। এ ছাড়াও আসরে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার ডিজিএম নাজমুল হক, আতিয়ার রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, গিয়াস উদ্দিন টিটন, হোসেন জাকির, আহমেদ বেলাল, সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ।