কুষ্টিয়ায় মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর হত্যা ও ছিনতাই মামলার রায়
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর রহমান হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় শুধুমাত্র আসামি কাওছার আলী উপস্থিত ছিলেন। বাকী ৫ আসামি পলাতক রয়েছে। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহের স্বরূপদহ গ্রামের রজব আলী জোয়াদ্দারের ছেলে মানিক জোয়াদ্দার (৩৭), মিরপুর উপজেলার ইশালমারী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে কোরবান আলী (৪৭), সদর উপজেলার বাহির বোয়ালদহ গ্রামের আফিল উদ্দিন সর্দারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার (৫২), চরসাদিপুর গ্রামের নুজদার সেখের ছেলে সোহান (৩৭), মাগুড়া জেলার হাফিজুর মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মান্না ওরফে সাগর (৩৭) এবং আদালতে উপস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের নফর আলী শাহের ছেলে কাওছার আলী (৪০)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের স্টিল ব্রিজ নামক স্থানে ছিনতাই চক্রের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর রহমানকে (৪০) গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিরপুর উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রউফ বাদি হয়ে ২৯ জুলাই অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুল হক ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানী শেষে ৬ আসামির অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন আদালত। এছাড়া ছলেমান নামের আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।