রতন বিশ্বাস: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধ আয়ুব আলী থাকে ভাঙা মাটির তৈরি ছোট্ট একটি খুপরি ঘরে। ঘর মেরামত করার মতো নেই কোনো সাধ্য তার। সারাদিনের ক্লান্ত দেহ নিয়ে রাতে ঘুমোতে গেলে মাটির ভাঙা দেয়াল ও ভাঙা টিনের ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো উকি মারে তার দু’চোখের পাতায়। ঘরে নেই বিদ্যুত বাতি বা আলোর ব্যবস্থা। জীবন কাটছে অসহায় দুর্বিপাকে। এই বৃষ্টির সময় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে পানি পড়ে। শীতের সময়ও একই যন্ত্রণা, ঘরের ফাঁক দিয়ে ঘন কুয়াশা শরীরকে বরফ বানিয়ে দিয়ে যায়। ৭৩ বছর বয়সী কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মাঝপাড়ার মৃত ওয়ারিস ম-লের ছেলে আয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, এই বয়সে আমি কোন রকম দু’পাঁচশত টাকা দিয়ে শাক সবজি কিনে বাজারে রাস্তার ধারে বসে বিক্রি করি। যেটুকু লাভ হয় চাল ডালের ব্যবস্থা করি। আমার মাটির ঘরের মাটির দেয়ালটি ধসে পড়তে পারে যেকোন সময়। ওপরের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। ঘরের চারিপাশে পুরোনো ভাঙা টিন দিয়ে ঘেরা রয়েছে। বাইরে থেকে ঘরের সবকিছু দেখা যায়। সংসারে সঙ্গে স্ত্রী আছে। ছেলে আলাদা থাকে। সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাই না। এই বয়সে বয়স্ক ভাতার কার্ড আমার বড্ড প্রয়োজন। কিন্তু আমার কাছে সোনার হরিণের মতো বয়স্ক ভাতা নামক কার্ডের দেখা পাইনি এখনও। আমার এই কষ্টের শেষ কোথায়? কারো কি নজরে পড়ে না আমায়? দু’চোখে দেখেও দেখে না কেউ আমায়। এখনো আশায় আছি বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য। সবাই শুধু দেয়ার কথা বলতে পারে, কিন্তু কেউ দিতে পারে না। তিনি আরও জানান, এই বুড়ো বয়সে আমার আর আশা বোধ হয় পূর্ণ হবে না মনে হয়। কার্পাসডাঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনার মনে হয় বয়স্ক ভাতা হয়নি। তবে সামনে সুযোগ আসলে চেষ্টা করবো।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ