কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর গ্রামে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুই শ্রমিক হলেন সদর উপজেলার আবদালপুর গ্রামের হামিদ ম-লের ছেলে আবদুল হান্নান (৩২) ও একই গ্রামের পবন জোয়ার্দারের ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে হরিনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বকর শাহ বাড়িতে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে ঢালাই করা ছাদের বাঁশকাঠের সাটারিং খুলতে যান শ্রমিক শাকিল আহমেদ। এরপর কয়েক মিনিট হয়ে গেলেও তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ সময় অপর শ্রমিক হান্নান ট্যাংকের ভেতরে নামেন। তারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের মানুষকে খবর দেন বকর শাহ। তারা এসে দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেন। সেখানে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ সময় সেটা বন্ধ থাকায় সেখানে একধরনের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত গ্যাস আর অক্সিজেন সংকটের কারণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৭ মে কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পালপাড়া এলাকায় একইভাবে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিলো। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির বলেন, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার আগে এর ঢাকনা অনেকক্ষণ খুলে রাখা প্রয়োজন। তাতে ভেতরে থাকা বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে যাবে। একটু সতর্ক হলে এ ধরনের মৃত্যু কমানো সম্ভব।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ