দর্শনা অফিস/আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আড়াই কেজি স্বর্ণসহ তিনজন গ্রেফতার মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দর্শনা পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতারের পর করা হয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ। চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান বিরোধী সফল অভিযান চালান গত বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে। পুলিশ স্বর্ণ চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ব-বিল রেলগেট এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। ওই প্রাইভেটকার থেকে গ্রেফতার করা হয় দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুরের নুর ইসলামের ছেলে বাপ্পী (৩০), চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বনানীপাড়ার রিপন হোসেনের ছেলে সম্রাট হোসেন (৩৫) ও মাদারীপুর জেলার জালালপুরের বাবু হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদালকে (৩২)। প্রাইভেটকার তল্লাশি করে সিটের নিচ থেকে তুলা ও স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় রাখা স্বর্ণালঙ্কারের ৬টি ব্যান্ডেল উদ্ধার করে পুলিশ। আড়াই কেজি স্বর্ণালঙ্কারসহ তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মামলার এজেহারভুক্ত আসামি স্বর্ণালঙ্কার চেরাচালানিদের হোতা দর্শনা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেনসহ আরও অনেকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বিল্লাল হোসেন দর্শনা শ্যামপুরের নুর ইসলামের ছেলে। তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির বলেন, স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের হোতা ও সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেনসহ গ্রেফতারকৃত চারজনকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি আলমগীর কবির।
এদিকে স্বর্ণের চালান পুলিশের হাতে আটকের খবর পেয়ে বিল্লালসহ দর্শনার বেশ কয়েকজন গা ঢাকা দেয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামির তালিকাতেও বিল্লালের নাম আছে বলে সূত্র জানায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ