স্টাফ রিপোর্টার: বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া সুগার মিলের গুদামে রক্ষিত ৫২ মে. টন চিনি চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক কুষ্টিয়ার কৌঁসুলি অ্যাড. আল মুজাহিদ মিঠু জানান, এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে কুষ্টিয়া সুগার মিলস লি. জগতির উপব্যবস্থাপক (ভা-ার) মো. আল আমীন, গুদামরক্ষক মো. ফরিদুল হক এবং শ্রমিক সর্দার মো. বশির উদ্দিন।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ জুন থেকে চলতি বছরের ১২জুন পর্যন্ত ইনভেনটরি কার্যক্রম হয়। এ সময়ের মধ্যেই কুষ্টিয়া সুগার মিলে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উৎপাদিত ও গুদামজাত ১২১ মে. টন চিনির মধ্যে ৫২ মে. টন চিনি খোয়া যাওয়ার প্রাথমিক সত্যতা মিল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে গুদামে রক্ষিত মালামাল নিরীক্ষণ শেষে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রাথমিক তথ্যে সত্যতা পাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। গুদামে রক্ষিত সরকারি মালামাল চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে রেখে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। পরে পারিপার্শ্বিক চাপের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায়। এই সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে দুদক প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা এবং জড়িত সন্দেহে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্তব্যরত তিনজনকে শনাক্ত করেন।
দুদকের প্রাথমিক তদন্তের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে প্রতারণাপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৫০ দশমিক ৭০০ মে. টন চিনি (আর্থিক মূল্য ৩৩,২০,১০০ টাকা) আত্মসাৎ করে।
উল্লেখ্য বার্ষিক উৎপাদনে কয়েক বছর ধরে লোকসানের মুখে পড়াই গত আখমাড়াই মরসুমে সারাদেশে বন্ধ হওয়া নয় মিলের মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকলও রয়েছে। এ কারখানা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারী, আখচাষি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটি এখন কেবলই লুটপাটের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সরকার এর কোনো বিহিত না করলে খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
করোনা নিভিয়ে দিলো চুয়াডাঙ্গার প্রতিভাবান এক কলম সৈনিকের প্রাণ প্রদীপ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ