কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও এর উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আটজন করোনায় ও একজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন । মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৬ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে করোনা। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৬৯ জন, কুমারখালীতে ১৮, দৌলতপুরে ২১, ভেড়ামারায় ১৯, মিরপুরে ২৪ এবং খোকসায় ১৫ জন রয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে ১৯৯ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১৫ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৪ জন। এ পর্যন্ত করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৪০ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালটি কোভিড ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ আরও বাড়ছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম হওয়ায় চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে রোগীর চাপও বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এএসএম মুসা কবির জানান, করোনা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেন বাড়িতে বসে না থাকেন, এটি দেখতে গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ