চুয়াডাঙ্গার বাটিকাডাঙ্গায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে গর্ভপাত করে হত্যার অভিযোগ

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বাটিকাডাঙ্গায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিজ সন্তানকে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ তুলেছে স্বামী আব্দুস সালাম। গতকাল এ ঘটনায় ৫মাস ২০ দিনের বাচ্চাটি গর্ভপাত করিয়ে দাফন করলে পুনরায় শরীয়াহ মোতাবেক দাফন কাজ করেন স্বামীপক্ষের লোকজন।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে দেড়বছর আগে আব্দুস সালাম প্রেমজ সম্পর্ক শেষে বিয়ে করে প্রতিবেশী আব্দুল মিন্টুর মেয়ে রিতু খাতুনকে। পারিবারিক জীবনে কলহের কারণে ৫মাস ২০ দিনের বাচ্চা নষ্ট করে গর্ভপাত করানোয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন স্বামী। গতকাল মৃত বাচ্চাটি তড়িঘড়ি করে দায়সারা দাফন করে স্ত্রীপক্ষ। পরে স্বামীর লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল সোমবার দুপুরে অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুপক্ষের মধ্যে একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পুনরায় মৃত ফুটফুটে বাচ্চাটি তুলে দাফন করে স্বামী পক্ষের লোকজন।
ছেলের ভাই লালন হোসেন বলেন, তারা তাদের মেয়েকে দেবে না বলে বাচ্চাটি নষ্ট করেছে। মেয়ে তালাক নিয়ে দেনমোহরের দেড়লাখ টাকা নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। তিনি আরো জানান, এর আগেও সে একটি বাচ্চা নষ্ট করেছে। তিনি আরো বলেন, বাচ্চা একা একা নষ্টের কোনো আলামত নেই। কারণ বাচ্চাটি তরতাজা ফুটফুটে চেহারা। পেটে মারা গেলে তার আকৃতি এমন হবার কথা না।
এদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী রিতু খাতুন সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী আমাকে প্রায় প্রায় মারধর করেন। গত কয়েকদিন আগে মারধরের একপর্যায়ে আমার স্বামী আমার পেটের পাশে লাথি মারে। যার কারনে বাচ্চা নষ্ট হয়েগেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, বাচ্চাটি ওই মেয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট করেছে। এমন জঘন্য কাজ করা আদৌ উচিত হয়নি। বাচ্চা নষ্ট করা মানেই একটি অনাগত শিশুকে হত্যা করা। তদন্ত করলে এই ঘটনার সত্য উদঘাটন হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More