জীবননগর ব্যুরোঃ জীবননগরে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর দোকান খুলে রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪ টি মামলায় ১৫ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার সময় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মুনিম লিংকন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলায় ক্রমান্বয়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জরুরি এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরী ওই সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় গতকাল শুক্রবার থেকে শুধু ওষুধের দোকান ছাড়া উপজেলার সমস্ত বাজারের সব দোকান সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর বন্ধ রাখতে হবে এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক একটি গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করেন। কিন্তু জীবননগর পৌর শহরেরর কিছু দোকানদার প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে রাত সাড়ে ৭ টার পরও দোকান খুলে রেখে বেচা-কেনা করছিল। খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মুনিম লিংকন রাত ৮ টার সময় ভ্রাম্যমাণ পরিচালনা করেন। এ সময় মাস্ক ব্যবহার না করা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর দোকান খুলে রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪ জনকে ১৫ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এসএম মুনিম লিংকন বলেন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে। সরকারী বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে করোনা সংক্রমণ বিস্তারে সাহায্যকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।