মেহেরপুরে করোনায় নতুন আক্রান্ত ২০ : মারা গেছেন একজন
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মেহেরপুরে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। মেহেরপুর জেলায় নতুন করে ২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আরো একজন। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন করে ২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১২ জন, গাংনী উপজেলার ৩ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে জেলায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩৫। গতকাল বুধবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস আরও জানায়, ল্যাব থেকে ৬০টি (এন্টিজেন-৪৫, জিন এক্সপার্ট-১৫) নমুনা পরীক্ষা শেষে সবগুলো রিপোর্ট মেহেরপুরে এসে পৌঁছে। এর মধ্যে ২০ জন করোনা রোগী চিহ্নিত হয়েছে। মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট এক হাজার ৩০৬ জন করোনা রোগী চিহ্নিত হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৩৫ করোনা রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৫ জন, গাংনী উপজেলায় ৯৮ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৭২ জন রয়েছেন। এছাড়া ট্রান্সফার্ড হয়েছেন ১০১ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৬১ জন, গাংনী উপজেলার ১৬ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ২৪ জন রয়েছেন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৯৪৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৩৩ জন, গাংনী উপজেলায় ৩১০ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ১০৪ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ১১ জন, গাংনী উপজেলার ১১ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ৬ জন রয়েছেন।
মেহেরপুরে করোনা সংক্রমের সংখ্যা বেড়েই চলছে। কিন্তু এখনও এসবে পাত্তা দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বেশীর ভাগ মানুষই মাস্ক পরেন না, সামাজিক দূরত্বও মানেন না। এ কারণে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ যৌথভাবে করোনা প্রতিরোধে সচেতনা বৃদ্ধি ও লকডাউন কার্যকর করার লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন স্থানে গণসচেতনতা প্রচারণা চালিয়েছে। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণসচেতনতা প্রচারণার চালানো হয়। আগামী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রত্যেক দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত মেহেরপুরের সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। এছাড়াও প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক ঘোষণা দেয়া হয়। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমানের নেতৃত্বে এ জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। একই দিনে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাশগুপ্ত, মিথিলাসহ অন্যান্য সহকারী কমিশনারবৃন্দ বিভিন্ন এলাকায় গণসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে গণসচেতনামূলক প্রচারণায় অংশ নেন মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম এবং সদর থানার ওসি শাহদারা খান অযথা বাড়ির বাইরে না আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।