চুয়াডাঙ্গায় ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ
দামুড়হুদার ১৮টি গ্রাম লকডাউন করে সংক্রমণ রোধের চেষ্টা : বদনপুরে ৫ জনসহ উপজেলায় আরও শনাক্ত ১৮
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ২৮ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে প্রায় অর্ধেক সংখ্যকের কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় স্বয়ং স্বাস্থ্য বিভাগের কপালেই পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। সোমবার আরও ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার শনাক্ত হওয়া নতুন ২৮ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১৮ জনই দামুড়হুদা উপজেলার। বদনপুর গ্রামেরই ৫ জন। বদনপুরসহ দামুড়হুদা উপজেলার ১৮টি গ্রাম লকডাউন করে সংক্রমণ রোধে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রবণতা বাড়লে সংক্রমণও হ্রাস পাবে বলে আশাবাদী চুয়াডাঙ্গা জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ কমিটির সভাপতি তথা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পুনঃ পুনঃ অনুরোধ জানিয়ে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে সোমবার ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। ২৮ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস ধরাপড়েছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন, সদর উপজেলার ৬ জন, জীবননগর উপজেলার ৪ জন। সদর উপজেলার মনিরামপুর, শেখপাড়া, সাদেক আলী মল্লিকপাড়া, নবীননগর, দৌলাতদিয়াড় ও আলুকদিয়ায় একজন করে মোট ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া, বাকা, লক্ষ্মীপুর ও জীবননগরে ্একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জনের মধ্যে দর্শনার দুজন, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের ৩ জন, বদনপুরের ৫ জন এবং ১জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে উপজেলার নতুন বাস্তপুর, জুড়ানপুর, কুড়–লগাছী, মদনা, কুতুবপুর, কেশবপুর, ঠাকুরপুর, ও চিৎলা গ্রামের। নতুন ২৮ জনকে নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৮ জনে। সোমবার আরও ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে সুস্থতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮শ ৩৯ জনে। এ পর্যন্ত মারা গেছে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ৭০ জন। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগী রয়েছে ১শ ৮৯ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ১৬২ জন, হাসপাতালে ২৪ জন ও ৩ জন রেফার্ড। সদর উপজেলার ৪৪ জনের মধ্যে ৩৫ জন বাড়তে, ৮ জন হাসপাতালে ১জন রেফার্ড। দামুড়হুদা উপজেলার ১১৩ জন রোগীর মধ্যে ৯৯ জন বাড়িতে, ১৩ জন হাসপাতালে ১ জন রেফার্ড। জীবননগর উপজেলার ১৯ জন রোগীর মধ্যে ১৮ জন বাড়িতে একজন হাসপাতালে। আলমডাঙ্গা উপলোর ১৩ জন রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ২ জন, রেফার্ড ১ জন ও বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ১০ জন।
দেশে রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৭ হাজার ১শ ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯শ ৭০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯শ ১৮ জন। মারা গেছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮শ ৬৯ জনে।