আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের নাবালিকা মেয়ে ঝরণা রানী আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে শৈলেন বিশ্বাস ও সিমেল হোসেন নামে দু’যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আমলী আদালতে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ তুলে তার মা সোনিয়া রানী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক নালিশী অভিযোগটি আমলে নিয়ে জীবননগর থানার ওসিকে আদালতে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি আদিবাসীপাড়ার হটু বিশ্বাসের ছেলে ও সিমেল হোসেন আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত জহির খানের ছেলে।
আদালতে দাখিলি অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হরিজন সম্প্রদায়ের রাজ কুমার ও তার স্ত্রী বাদিনী শ্রীমতি সোনিয়া রানী আন্দুলবাড়িয়া বাজারের ঝাড়–দার। আসামিরা বাজারের মৎস আড়তমালিক ও ম্যানেজার হওয়ার সুবাদে বাদিনীর বাড়িতে যাতায়াত ছিলো। তাদের সাথে সর্ম্পকের অবনতি হওয়ায় তারা আমার মেয়ে আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শ্রীমতি ঝরণা রানীকে বিভিন্ন সময় প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো। গত ৯ মে আমি ও আমার স্বামী বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে আসামিরা বাড়িতে গিয়ে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে ও তাদের সাথে চলে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আসামি শৈলেন বিশ্বাসের সাথে বিয়ে করতে হবে না হয় আত্মহত্যা করতে হবে। আমার নাবালিকা মেয়ে বলে সে আত্মহত্যা করবে তবুও তার সাথে বিয়ে করবে না। আসামিরা সংগৃহীত বিষের বোতল আমার মেয়ের হাতে তুলে দিয়ে বলে তাহলে আত্মহত্যা করে মর। আমার নাবালিকা মেয়ে রাগ, ক্ষোভ ও অভিমানে অপমান সইতে না পেরে আসামিদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় বিষপান করে। বিষপান করার পর আমার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আসামিরা আত্মহত্যার দায় এড়ানোর জন্য নাটকীয়ভাবে তাকে নিয়ে জীবননগর হাসপাতালে যায়। জীবননগর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মেয়ে ঝরনা মৃত্যুবরণ করে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ