ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছে
করোনায় ঝরে গেলো আরও ৪৩ প্রাণ : নতুন শনাক্ত এক হাজার ৪৪৭ জন
স্টাফ রিপোর্টার: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ায় এক সপ্তাহে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ আর মৃত্যু বেড়েছে ২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৭ দিনে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯২৮। এর আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল ৯ হাজার ৬৬০ জন। আগের সপ্তাহে মারা যান ২০১ জন। গত সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ২৫২। মৃত্যু ও শনাক্তের সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হার। গত সপ্তাহে সুস্থতার হার বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্ত কমলেও বেড়েছে শনাক্তের হার। একদিনে নতুন করে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন মারা যান ৩৪ জন। এনিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৮০১ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ জন। শুক্রবার ১ হাজার ৮৮৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সবমিলিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ জন হয়েছে। সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৬৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৫ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। তা সাড়ে ৭ লাখ পেরিয়ে যায় ২৭ এপ্রিল। রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৯টি ল্যাবে ১৩ হাজার ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ২৬০টি নমুনা। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ লাখ ২ হাজার ৪০৬টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৮৫৪টি। একদিনে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ৩০ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ৩৭ জন সরকারি হাসপাতালে, ৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা যান। মৃতদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল। মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন রাজশাহী বিভাগের, আটজন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৮০১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ২৩১ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫৭০ জন নারী।