চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু : আরও একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা পজিটিভ হয়ে ৬৭ জনের মৃত্যু হলো। এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল পাওয়া নমুনা পরীক্ষার একটি ফলাফলে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫০) গত বৃহস্পতিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি হন। ওই দিনই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরের দিন তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরে তাকে আইসোলেশন ইউনিটের লাল জোনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, ভর্তির দিনই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরদিন শুক্রবার আসা প্রতিবেদনে তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপরই শুক্রবার তাকে হলুদ জোন থেকে রেড জোনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়। আরএমও বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ করোনা প্রটোকল মেনে দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গতকাল শনিবার রাতে জেলায় ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তি কুতুবপুর গ্রামে। এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ জন। জেলায় বর্তমানে করোনা পজিটিভ রোগী ৭৪ জন। এর মধ্যে ২২ জন জেলার করোনা ডেডিকেটেডে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ৫২ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
জেলায় শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৫২১ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৯৫৭ জন করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫১ শতাংশ। করোনা পজিটিভ রোগীদের মধ্যে গতকাল ৫ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮১৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান বলেন, হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা পজিটিভ রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা তদারকি করে থাকেন। জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হয়। তিনি দাবি করেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকভাবে কাজ করায় পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে।