দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানির উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বাড়ছে। শুরু থেকে মাত্র ৩ মাসে কোটি টাকার উপরে লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন মোড়কে বাজার ও উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কতৃপক্ষ।
কেরু এন্ড কোম্পানির মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সেখ মো: সাহাব উদ্দিন মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) জানান গত বছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে দেশের এক মাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কেরু এন্ড কোম্পানির ডিষ্টিলারী বিভাগ ঐ বছরের ২৩ মার্চ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করে। শুরু থেকে ২৬ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত মোট উৎপাদন হয়েছে ৭০ হাজার ৫৫৮ লিটার। বিক্রি হয়েছে ৬৮ হাজার লিটার। বাকি ২হাজার ৫৫৮ লিটার মজুদ রয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত মাত্র ৩ মাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ২ লাখ টাকা নিট লাভ অর্জন করেছে। সে থেকে উৎপাদন ও বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। তবে ৩০ জুন ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত মোটা অংকের একটি লাভের আসা করছে কতৃপক্ষ। কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবু সাইদ জানান কেরুর উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, মানুষ স্থানীয় দোকান থেকে কেরুর স্যানিটাইজার কিনে নিয়ে যায়। উন্নত ও ভিন্ন পদ্ধতিতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মাজহার উল হক খান বলেন, নতুন ব্যাচের হ্যান্ড স্যনিটাইজার উৎপাদনে ৫০ মিলি থেকে ১০০ মিলি লিটারের নতুন মোড়ক ব্যবহার করা হবে এবং বাজার বিপণনে গুরুত্ব দেয়া হবে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু বলেন, বাজারে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে, কেরুরটা যদি স্প্রে বোতলে বাজারজাত করা যায়, সেখানে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ