খাঁচায় খুবই মনখারাপ বাঘ শাবক জো বাইডনের। লকডাউনে দর্শনার্থী শূন্য। খাঁচায় ওর মন খারাপ যেমন, তেমনই ওকে যারা সারাদিন পাশে রেখে আমদে কাটাতেন সময় তাদেরও ভালো লাগছে না। যেনো সময়ই কাটছে না বাইডেন ছাড়া। এ কারণে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে খাঁচা থেকে বের করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়। এ সময় বাঘ শাবক রাজকীয় ভঙ্গিতে ঘুরতে থাকে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার অফিস কক্ষ থেকে রাজকীয় ভঙ্গিতে বের হয়ে আসে বাঘ্র শাবক জো বাইডেন। এর একটু পর শুরু হয় তার মজার সব কাণ্ডকারখানা। কখনো দৌড়ে আবার কখনো পুরো চিড়িয়াখানাজুড়ে ঘুরে বেড়ায়।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, বাঘ শাবকটি আমাদের সঙ্গে থাকতে চাই। সে জন্য আমরা বাধ্য হয়ে কিছু সময়ের বের করে নিয়ে আসি। দুষ্টুমিতেও কম যায় না এই বাঘের বাচ্চা। অন্যান্য পশুর খাঁচার সামনে গিয়ে তাদের ভয়ও দেখায়। তখন খাঁচায় আবদ্ধ পশুগুলোর ছুটোছুটি শুরু হয়।
জানা গেছে, জন্মের পরদিন থেকেই মা বাঘ পরী’র পরিবর্তে জো বাইডেন বেড়ে উঠছে চিড়িয়াখানার কিউরেটরের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কিনে আনা বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর সংসারে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ৩টি শাবক জন্ম নেয়। নিজের বাচ্চাদের দুধ পান করানো বন্ধ করে দেয় এই বাঘিনী। মারা যায় দুটি শাবকও। এরপরই তৃতীয় শাবক ‘জো বাইডেনকে’ বাঁচিয়ে রাখার সংগ্রাম শুরু করে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ। ৫ মাস বয়স পূর্ণ হওয়ায় তাকে খাঁচায় বন্দি করা হয় ২০ এপ্রিল।