স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মহিলা কলেজ পাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর স্পর্শকাতর ছবি তুলে অর্থ দাবির অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে শহরের কেদারগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৮ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে পৌর এলাকার সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪) সাথে কেদারগঞ্জে পাড়ার গোলাম হোসেনের ছেলে জুবাইর হোসেন জীমের (১৮) বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৫ মার্চ জীমসহ আরো বেশ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই কিশোরীর বস্ত্রহীন ছবি ও ভিডিও ধারন করে তারা। এরপর থেকেই ধারনকৃত ওইসব অশালীন ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে চাঁদা দাবী করে চক্রটি। সেসময় স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা ভীত হয়ে তাদের দাবী মতো নগত ১৬ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও বেচলেট দিতে বাধ্য হয়। এরপরও তারা বিভিন্ন সময় একই হুমকি দিয়ে অর্থ দাবী করে আসছিল। পরে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দিনভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে মাধ্যেমে স্কুলছাত্রীর সাথে জুবায়ের হোসেন জীমের পরিচয় হয়। এরপর জোরপূর্বক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর সেই ছবি ও ভিডিও নিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায় করে জীমসহ তার সহযোগীরা। ইতোমধ্যে আমাদের হাতে বেশ কিছু প্রমাণ ও এসেছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আটককৃতদের ব্যাপারে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
|
|
পূর্ববর্তী পোস্ট
চাকরীতে যোগ না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেনা সদস্য হলেন ধরাশায়ী
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ