স্বামীর মৃত্যুর চারদিন পর স্ত্রীও মারা গেলেন করোনায়
তিনদিনে ঝিনাইদহে প্রাথমিকের সাবেক ডিজিসহ চারজনের মৃত্যু
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার হাওয়াতুন নেছা (৫৭) নামে এক নারী ও প্রফেসর আব্দুল লতিফ (৭৭) নামে এক শিক্ষাবিদের মৃত্যু হয়েছে। হাওয়াতুন নেছা হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হামিরাটি গ্রামের আনসার আলীর স্ত্রী। ৬ দিন আগে হাওয়াতুন নেছার স্বামী আনসার আলী করোনায় মারা যান। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর আব্দুল লতিফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মান্দিয়া গ্রামের শামুছুদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। প্রফেসর আব্দুল লতিফ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান এ তথ্য জানান। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এই নিয়ে ঝিনাইদহে স্বামী-স্ত্রী ও মা মেয়েসহ ১০ জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ঝিনাইদহের আরাপপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে। অপরদিকে, মেনকা রানী (৬০) নামের আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। বুধবার রাতে স্থানীয় কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসসূত্রে জানা গেছে। তিনি জেলা সদরের বলিদিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাওয়াতুন নেছা সদর হাসপাতালে মঙ্গলবার ভর্তি হন। বুধবার ভোর ৫টার তিনি মারা যান। হাওয়াতুন নেছা চাঁদপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যান সহকারি পদে কর্মরত ছিলেন। ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির সদস্য মাও. শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে হাওয়াতুন নেছার মৃতদেহ বুধবার দুপুরে হামিরহাটি গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ৭৪ জনের লাশ দাফন করেছে।