চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি অতর্কিত হামলা : ৬ জনকে আসামি করে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: পূর্বশত্রুতার জের ধরে চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ কয়েকজন। হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ঘরের দরজায় লাথি ও টিনের চালে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে তারা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ভাই বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। অন্যদিকে ঘটনার
পরে ঘটনাস্থলে আসেন দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত সকলেন বক্তব্য শোনেন এবং বলেন, অপরাধীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক তার কোনো ছাড় নেই। ঘনাস্থল পরিদর্শন এবং পরিস্থিতি শান্ত রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। এ ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে উভয়পক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাইদুর রহমান ছাবদারের ছেলে গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজুর বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হামলা চালিয়েছে কয়েকজন। এ সময় চেয়ারম্যান বাড়িতে না থাকায় ছোটভাই সিদ্দিকুর রহমান নজুর ওপর চড়াও হন তারা। নজু ঘরের দরাজা না খোলায় তারা ঘরের দরজায় লাথি এবং টিনের চালে লাঠি দিয়ে আঘাত করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান রাজু বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকারে এসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এ হামলা চালিয়েছে। এটা শুধু চেয়ারম্যানের বাড়ি না, এটা একজন প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি, একজন ওসির বাড়ি। আমি বাড়িতে থাকলে হয়তো সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলতো। ঘটনার পরপরই ওই সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনে আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমি আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ভাই সিদ্দিকুর রহমান নজু বাদী হয়ে খাড়াগোদা গ্রামের তোজাম্মেল হক চেনার ছেলে আরিফুজ্জামান পিলু (৩২) ও রাতুল হাসান (৩৫), বিল্লাল হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন (২০), আনিচ উদ্দিনের ছেলে মানোয়ার হোসেন (২৫), গোলজার হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও রবিউলি ইসলামের ছেলে মাহাবুলের (২৬) নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে রাতেই দর্শনা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। অপরদিকে মামলার প্রধান আসামি পিলু জানান, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে আমার ভাই হাসানের গলায় হেঁসো ধরে বলেছে, চেয়ারম্যানের সাথে যেসব বিরোধ আছে সব মিটিয়ে ফেল। তা নাহলে খবর আছে। ভাইকে এভাবে কেউ থেড দিলে মাথা ঠিক থাকে। তাই চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে আমার ভাইকে কারা থেড দিয়েছে তা জানার জন্য যায়। বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে দরজায় লাথি মেরেছি কোনো ভাঙচুর করিনি। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, পিলু ও হাসান একের পর এক অঘটন ঘটিয়েই চলেছে। যাকে তাকে মারধর এবং হুমকি ধামকি দিয়েই চলেছে। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে অপরাধী যেই হোক না কেনো বিন্দু পরিমাণ ছাড় পবে না।