মানুষে লড়াই’ শেষে প্রাণে রক্ষা পেয়ে গেলেন সুন্দরবনের মৌয়াল রবিউল ইসলাম (৩৩)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘের চোখে কাদা ছিটিয়ে তাকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার সহযোগিরা।
মঙ্গলবার পড়ন্ত বেলায় বাঘে মানুষে লড়াইয়ের এই ঘটনা ঘটে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হলদিবুনিয়ার কাছে আমড়াতলি খালে। ঘন বনভূমি ঘেরা এই খালে মৌয়াল রবিউল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা মধুর চাক ভেঙে এসে নৌকায় বিশ্রাম করছিলেন। এরই মধ্যে একটি মানুষখেকো বাঘ অতর্কিতে হামলা করে রবিউলকে ধরে নিয়ে যায়। রবিউল ও অন্যদের চিৎকারের মুখে বাঘটি দ্রুতবেগে বনের শুলোবন দিয়ে রবিউলকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। তার কয়েক সঙ্গী বৈঠা, ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও চরের কাদা নিয়ে বাঘটির পেছনে ছুটতে থাকে। একপর্যায়ে বাঘটি থেমে যাওয়ার সাথে সাথে তার চোখে কাদা ছিটিয়ে মারপিট শুরু করে সঙ্গীরা। পরে বাঘ রবিউলকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গীরা তাকে নৌকায় নিয়ে এসে পরে দ্রুত শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত রবিউল শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের আব্দুল হালিম শেখের ছেলে। গত ১ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাস নিয়ে তিনি ও তার সঙ্গীরা সুন্দরবনে মধু ভাংতে যান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন অফিসার সুলতান আহমেদ জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন। তার আগেই সঙ্গীরা রবিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ