স্টাফ রিপোর্টার: সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও গ্রাহকদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা হলেন সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রফিকুল ইসলাম। অপরদিকে গতকাল ব্যাংকে ছিলো উপচেপড়া ভিড়। করোনা সংক্রমণের মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যেমন নজির মেলেনি, তেমনই ব্যাংক অভ্যন্তরে সচেতন গ্রাহককে হতে হয়েছে অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার।
ভুক্তভোগী গ্রাহকসূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সোনালী ব্যাংকের ১০নং কাউন্টারে সঞ্চয়ী ও বিভিন্ন স্কিমের গ্রাহকরা দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিচ্ছিলেন । এ সময় একের পর এক সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রফিকুল ইসলাম ভেতর থেকে তার পরিচিত ও নিকটতম লোকজনের টাকা ও জমা বই ক্যাশ জমাকারী কর্মকর্তার কাছে দিয়ে তাদের কাজগুলো আগে সেরে নিচ্ছিলেন। জমাকারী ওই কর্মকর্তাও সিনিয়র অফিসার ক্যাশ রফিকুলের কথা মতো কাজ করছিলেন। এদিকে প্রচ- গরম ও করোনা আতঙ্ক নিয়ে দীর্ঘলাইনে সাধারণ গ্রাহকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কষ্টভোগ করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল রোববার ২দিনের অনুসন্ধানে গ্রাহক হয়রানির জন্মদাতা ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম নিজেকে খুবই প্রভাবশালী হিসেবে গ্রাহকদের হুমকিও দিচ্ছেন। এ বিষয়ে যিনি কাউন্টারে টাকা জমা নিচ্ছিলেন ওই কর্মকর্তাকে অপেক্ষমাণ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে তার নিকট জানতে চান! আমাদেরকে বাইরে দাঁড় করিয়ে সিরিয়াল ব্রেক করে ভেতরের টাকা নিতে আপনার খারাপ লাগছে না? তিনি অসহায়ের মতো বলেন, কি করবো বলুন উনি আমাদের স্যার তো?। উনার কথা ফেলতে পারি না। সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রফিকুল ইসলাম গ্রাহকদের এ কথা শুনে রেগে তেড়ে এসে বলেন, আপনি পারলে কিছু করে নিয়েন। তখন তাকে বলা হয়, ভাই আপনার সাথে তো কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে জমাকারী কর্মকর্তার সাথে। তখন তিনি (রফিকুল) বলেন, সে আমার স্টাফ। তাকে আপনি কেন জিজ্ঞাসা করবেন? ওই কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ঔদ্ধতপূর্ণ আচরণ করে বলেন, আমি সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রফিকুল ইসলাম। যান ম্যানেজারের কাছে আমার বিরদ্ধে অভিযোগ করেন। আমি এসব পরোয়া করি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক গ্রাহক বলেন, আমরা প্রায়ই ওই রফিকুল ইসলামের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছি। অভিযোগের ব্যাপারে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। ওই কর্মকর্তার দুর্ব্যবহারের ঘটনার বিষয়ে সোনালী ব্যাংক বড় বাজার শাখার ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, তিনি গ্রাহকদের সাথে এ রকম আচরণ করতে পারেন না। এ বিষয়ে তিনি ওই কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ