মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ধানের গাছে থোড় থেকে শীষ বের হওয়ার পরপরই শিষের রঙ শাদা হয়ে ছিটে পড়ছে। গত ৪ এপ্রিলের কালবৈশাখি ঝড়ের পর থেকে ধান গাছে এ রোগ লেগেছে বলে দাবি এলাকার শত শত কৃষকের। করোনাকালে ক্ষেতের ফসলের বিপর্যয় ঘটলে কৃষকের পথে বসতে হবে বলে তারা মনে করেন।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মরসুমে মুজিবনগর উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফসলের আশায় কৃষকের পাশাপাশি আশায় বুক বেঁধেছিলো মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিস। মাজরা পোকা শীষ কেটে দিচ্ছে নাকি ধানের ডগা মরা রোগ লেগেছে নাকি ধানে ব্লাস্ট রোগ হতে যাচ্ছে তা নিয়ে কৃষকের দুঃচিন্তা কমতি না থাকলেও মুজিবনগর কৃষি অফিস “ধানের তাপমাত্রা দূর করে ফসল ঘরে তুলতে কুলিং সিস্টেমের পরামর্শ দিচ্ছেন”।
মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন জানান, এ মরসুমে তিনি তিন বিঘা জমিতে ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। ক্ষেতের ধান দেখে তিনি আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ মরসুমে তিনি কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন। কিন্তু সম্প্রতি তার জমির ধানের শীষ শাদা হয়ে চিটে হয়ে যাচ্ছে দেখে তিনি দুঃচিন্তায় আছেন। তার মতো এলাকার আবুল হাশেম, হায়দার আলীসহ অনেক কৃষক মনে করছেন ধানে ব্লাস্ট রোগ লাগতে পারে। এ ধরনের দুঃচিন্তায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান মনে করেন- কালবৈশাখির পরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা ধানের ‘হিট শক’ রোগ ছাড়া অন্য কিছু না। অন্যান্য বছরে এসময় অল্প অল্প বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর আকাশ থেকে সে ধরনের বৃষ্টি হয়নি। তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে জমিতে অন্তত ২-৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। যাতে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও জমিতে পানি থাকায় তা কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে যদি তাপমাত্রা রাখা যায়; তাহলে এ সমস্যা হবে না।” তিনি আরও বলেন, যেখানে ঝড় হয়েছে, সেখানে পাতাপোড়া রোগ হতে পারে। তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, ওইসব এলাকায় ৬০ গ্রাম এমওপি সার ও ৬০ গ্রাম থিওভিট ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে বিকেল বেলায় প্রতি ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি টগর ও দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ