লকডাউনের চতুর্থ দিন : স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারও
বিধিনিষেধ মানতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জোরালো তাৎপরতা দেখা যায়নি
স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সারাদেশের বিধিনিষেধ আরোপের চতুর্থ দিনেও এগুলো পরিপালনের ক্ষেত্রে বেশ শিথিলতা দেখা গেছে। গত ৩ দিনের মতো মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যাপকভাবে ছোট যানবাহন চলার কারণে অনেক রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন। কাঁচাবাজার, মহল্লার দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের জটলা দেখা গেছে। সবকিছু মিলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে সারাদেশে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ, র্যাব ও জেলা প্রশাসন মাঠে থাকলে তারা কঠোর ছিলো না। ফলে জনজীবনে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার এসব আয়োজন পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। জনগণের ভয় চলে যাওয়ায় এসব সতর্কবাণী, মোবাইল কোর্ট তেমন কোনো কাজে আসছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরেও লকডাউনের চতুর্থ দিনেও সাধারণ দিনের মতোই চলাচল করেছে মানুষ। সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধের প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় দিনের তুলনায় চতুর্থ দিনে মানুষে আরো উদাসীন ছিলো শহরজুড়েই ছিলো মানুষের ভীড়। বিধিনিষেধ মানতে মানুষের বাধ্য করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জোরালো তাৎপরতা নেই। ফলে সবকিছুতেই এক ধরনের শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। লকডাউনের চতুর্থ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফেরিঘাট রোড, বড়বাজার পুরাতন গলি মার্কেট, নিউ মার্কেট, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের বাজার, ব্যাংকসহ শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কেই ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রামেগঞ্জেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গত সোমবার থেকে মানুষের চলাচলের ওপর আরোপিত হয়েছে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিলো এর চতুর্থ দিন। এর আওতায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বাস্তবে দেখা মিলছে তার উল্টা চিত্র।