ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের রাধাকান্তপুর গ্রামের মিরাজ হোসেনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দুপুরে রাধাকান্তুপুর গ্রামের মাছুদের ছেলে মিরাজ পাশের বাড়ির প্রবাসীর ৮ বছরের শিশুকে মিষ্টি দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে ভিকটিমের পরিবার। এ বিষয়ে গত ২৮ মার্চ ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গত কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এখনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমে চেচামেচি শুনে স্কুলের পাশে প্রবাসীর বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে মাছুদের ছেলেকে দেখতে পায়। পরে আমার স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, মিষ্টি খাওয়ার লোভ দেখিয়ে মিরাজ তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার সময় চিৎকার করলে তার মুখে ক্যাপ দিয়ে চেপে ধরে।
তিনি আরও বলেন, সে কান্নাকাটি করলে আশেপাশের লোক তাকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ পর মিরাজ ওই শিশুর মাকে ভয় দেখিয়ে বলে এ কথা যদি কাউকে বলো তাহলে তোমার মেয়েকে মেরে ফেলবো। তখন তার মা কৌশলে তাদের ঘরের একটি কক্ষে মিরাজকে আটকে চিৎকার করে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং বিষয়টি জানতে পারে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাতলামী ক্যাম্পের এসআই এনামুল হক বলেন, আমি ঘটনার দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, এলাকার রাধাকান্তপুর গ্রামের মাছুদ ম-লের ছেলে মিরাজ ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে একটি আবদ্ধ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওখানে যাওয়ার পরে আশেপাশের লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ঘটনার সত্যতা যাচায়ের জন্য মেয়ে ও মেয়ের মাকে সদর থাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই শিশুর মা জানান, মিরাজ গত এক বছর ধরে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করে আসছে। একদিন লাঠি মিষ্টি দেয়ার কথা বলে মেয়েকে একটা বাগানে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করে। পরে জানতে পারলে সে এমন কাজ আর কখনো করবে না বলে আমাদের কাছে হাত পাঁ ধরে মাফ চেয়ে যায়। কিন্তু শনিবার দুপুরে আমার মেয়ের কান্নাকাটি শুনে সবাই মিলে মিরাজদের বাড়ি থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। এবং কিছুক্ষণ পর মিরাজ এই বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য আমাকে ও আমার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।