কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় ভেড়ামারায় সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষের (জিকে) দুইটি পাম্প মেশিন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার রাতে পাম্প দুটির মাধ্যমে পানি সরবরাহ শূন্যে নিয়ে আসা হয়েছে। এসব তথ্য দিয়েছেন পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘পদ্মায় পানি কমে গেছে। পানি সংকটের ফলে অনেক সমস্যা হচ্ছিলো। কারণ পানি ৪.৫ মিটার আরএলের (রিডিউসড লেভেল) নিচে নামলে পাম্প মেশিনের কয়েল ও বিয়ারিংয়ের তাপমাত্রা বাড়ে। এতে মেশিনে শব্দ ও ঝাঁকুনি হয়। এসব সমস্যার কারণেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনায় পাম্প দুইটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।’ সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের আওতায় বোরো মরসুমে এবার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। চার জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে তা দেওয়ার কথা ছিল।
পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান আরো বলেন, ‘পদ্মায় পানির লেভেল গত সপ্তাহে কমে আসায় পাম্প দুইটির সরবরাহ শূন্য করতে হয়েছে। ঐ সপ্তাহে পানি পাওয়া গেছে ৪.১ থেকে ৪.১৮ মিটার রিডিউসড লেভেল (আরএল) পর্যন্ত।’
জানা গেছে, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার কৃষির গুণগত মান বৃদ্ধি, স্বল্প ব্যয় এবং উত্পাদন বাড়ানো এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। চার জেলার ১৩ উপজেলার ৪ লাখ ৮৮ হাজার একর জমি প্রকল্পের আওতাধীন ছিল। এটি ছিল প্রথম দিকে। পরে পদ্মা নদীতে পানি কমায় পাম্পের প্রধান খালের মুখে পলি ও বালু জমে। পানি না থাকায় একে একে ভরাট হতে থাকে জিকে প্রজেক্টের খালগুলো। পরে প্রকল্পের আওতাও কমে আসে। ২০২১ সালের ১৫ ও ১৭ জানুয়ারি সেচ সুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের দুইটি পাম্প চালু করা হয়।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘৩১ মার্চ বাংলাদেশের প্রাপ্যতা শুরু হবে। সে সময় পানি সরবরাহ বাড়লে পাম্প দুইটির পানি সরবরাহ আবার সচল হবে। ফারাক্কা চুক্তির কারণে এ মরসুমে গঙ্গার পানির প্রাপ্যতা অনুযায়ী ১০ দিন বাংলাদেশ এবং ১০ দিন ভারতের পাওয়ার কথা।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ