মুজিবনগর-কোলকাতা স্বাধীনতা সড়ক উদ্বোধনকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
স্বাধীনতা সড়ক উদ্বাধনের মধ্যদিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো
মুজিবনগর প্রতিনিধি: যেখানে রচিত হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সূর্য, সেই স্থানেই উদ্বোধন করা হলো মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হৃদয়পুর হয়ে কোলকাতা স্বাধীনতা সড়ক। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্বারক সাক্ষরকালে এ ঘোষণা দেন। পরে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের সচিব হেলালউদ্দিন সরকারের পক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক প্রান্তে অপেক্ষমান কর্মকর্তা ও উৎসুক জনতাকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. মুনসুর আলম খাঁন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন, পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মেহেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মুজিবনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আমাম হোসেন মিলু, মুজিবনগর উপজেলা বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনসহ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় জনগণ।
১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল স্বাধীনতা সড়কটি দিয়েই ভারত হয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ ভারতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মুজিবনগর পৌঁছে দেশের প্রথম সরকার গঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে এ সড়কটি বন্ধ হয়ে থাকলেও ঐতিহাসিক এই সড়কটি স্বাধীনতা সড়ক নামকরণ করে চেকপোস্টের মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের যাতায়াতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর হলেও পূরণ হচ্ছে মেহেরপুর-মুজিবনগরবাসীর দাবি। এতে গর্বিত মুজিবনগরবাসী।
সড়কটি দেখতে দুপুরের পর থেকে স্থানীয় জনগণের সমাগম ঘটে। মেহেরপুর শহরের সাংস্কৃতিককর্মী অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন, মুজিবনগর উপজেলার কামরুল হাসান চান্দু, আয়ুব হোসেনসহ আরো অনেকেই বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তাৎপর্য বহনকারী এ সড়কটি শুধু মেহেরপুরেরই নয় বরং জাতির কাছে স্বরনীয় হয়ে থাকবে। দুই দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ সড়কটি উদ্বাধনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো বলেও জানান তারা।
উদ্বোধনের সময় মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ভার্চুয়াল সভায় বলেন, দেশের একমাত্র স্বাধীনতা সড়ক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো। এই সড়কটি জাতির কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ডা. মুনসুর আলম খাঁন বলেন, এই সড়ক আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আবেগের সড়ক। তাই দুই দেশের কাছে এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কটির ফলে চেকপোস্টের মাধ্যমে যাতায়াতের সুবিধা থাকবে বলেও জানান তিনি।