সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করব। আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এসময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চলো যাই, চলো, যাই চলো, যাই-/চলো পদে পদে সত্যের ছন্দে/চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে/চলো মুক্তিপথে/চলো বিঘœবিপদজয়ী মনোরথে’ পঙক্তিগুলো আবৃত্তি করতে করতে বক্তৃতা শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাঙালির মুক্তির কান্ডারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ এখন দুই মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত। ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী আনন্দ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাস ও সময়ের আলোকে বক্তব্য দেন। শুরুর দিন বুধবার বিকেলের অনুষ্ঠানের থিম ছিলো ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’। বাংলার স্বাধীনতা মানে বঙ্গবন্ধু। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতার কর্ম, জীবনকে নানা আঙ্গিকে উদযাপনের এই আয়োজনের শুরু হয় শতাধিক শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে। এই অনন্য উদযাপনের মুহূর্তে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ এবং ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদ। অনুষ্ঠানস্থলে তাদের অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে স্বাগত ভাষণ রাখেন তিনি। সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ অনুষ্ঠানে ধারণ করা ভিডিওবার্তায় শুভেচ্ছা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যার প্রতিবেদক খ্যাতিমান সাংবাদিক মার্ক টালি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উদযাপন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনে চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার দেশের উপহার হিসাবে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য দেয়ার ভিডিও প্রচারিত হয়। অতিথিদের কাছে স্মারক হস্তান্তর করা হয় মুজিব চিরন্তনের। ‘মুজিব চিরন্তন’ নামে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিওচিত্র পরিবেশিত হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ধারণ করা বর্ণাঢ্য ফ্লাইপাস্টও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। এরপর দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, হৃদয়ের বাতিঘর’ পরিবেশিত হয়। গানটি লিখেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। সুরারোপ করেছেন বিশিষ্ট শিল্পী নকীব খান। বাংলাদেশ এমন এক সময়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে, যখন মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকারে রয়েছে এবং সরকারপ্রধান জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক্ষার প্রহরের আজ অবসান হতে চলেছে। আজ এমন এক সময়ে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মর্যাদাপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় সম্মানজনক দুই হাজার মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে; মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১২ বছরের নিরলস প্রচেষ্টা এবং জনগণের ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফসল আজকের এই প্রাপ্তি। বাংলাদেশের জনগণ আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে তাকে সহজে নামানো যাবে না। করোনাভাইরাস মহামারীও সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার অর্ধশতক পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যে সক্রিয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শুভ জন্মদিনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপতৎপরতা প্রতিহত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। তিনি বলেন, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত আমরা দেশে এবং বিদেশে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আজ তার সূচনাপর্ব। তবে আমাদের উৎসব ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির জনগণকে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, সাংবাদিক মার্ক টালি শুভেচ্ছাবাণী পাঠিয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীর পক্ষ হতে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চীন, কানাডা এবং জাপানের জনগণকেও শুভেচ্ছা জানান তিনি। এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে জাতির পিতার সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরে বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চের এই দিনে তার বাবা টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা শেখ সায়রা খাতুনের কোল আলো করে যে শিশুর এই ধরিত্রীতে আগমন ঘটে, সেই শিশুই আলো জ্বালিয়েছিলেন বাঙালি জনগোষ্ঠীর জীবনে। এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম জানান শেখ হাসিনা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ মাতৃভাষার মর্যাদা অর্জনের যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, সে ধারাবাহিক সংগ্রামের সাফল্যের ফসলই আমাদের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, শোষণ, বঞ্চনা, ক্ষুধা, দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের এ জনপদকে একটা পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার মতো কঠিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে। অসাধ্য সাধন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং যুদ্ধ-পরবর্তী দেশ গড়ার কাজে যেসব বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং নেতারা আমাদের সাহায্য করেছিলেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। শেখ হাসিনা বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বাংলাদেশকে তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকের নির্মম বুলেট তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের আলোচনাপর্ব। এরপর ছিলো বিশেষ সাংস্কৃতিক আয়োজন ও লেজার শো। এদিন ভারতের খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী মমতা শংকরের পরিচালনায় ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবর’সহ কয়েকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন সেখানকার নৃত্যশিল্পীরা। ছিলো মুজিব জন্মশতবর্ষের কার্যক্রম ফিরে দেখা, ড্রামা-১, থিমেটিক অডিও-ভিজ্যুয়াল, ভারতের বিখ্যাত সংগীত বিশেষজ্ঞ দেবজ্যোতি মিশ্র ও তার দলের বাদ্যযন্ত্র সহযোগে অর্কেস্ট্রা মিউজিকের সঙ্গে গান পরিবেশনা। এতে পরিবেশিত হয় বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সব গান। সংগীত পরিবেশন করেন সাদি মহম্মদ, রফিকুল আলম, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শিমুল ইউসূফ প্রমুখ। তারা পরিবেশন করেন জাত গেল জাত গেল, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে, ধনধান্য পুষ্প ভরাসহ একটি কোরাস গান। জয় ঢাক সহযোগে বিশেষ পরিবেশনা নিয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানমালার পাঁচ দিনের আয়োজনে যোগ দেবেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। মহামারীর কারণে ওই পাঁচ দিনের আয়োজনে সর্বোচ্চ ৫০০ আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে আসার আগে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে তিনি করোনায় সংক্রমিত নন। আজ বৃহস্পতিবার এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন। আজকের অনুষ্ঠানের থিম ‘মহাকালের তর্জনী’। এদিন মুজিব চিরন্তন প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর আবহ সংগীত পরিবেশিত হবে। বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত সম্ভাষণ দেয়ার পর মহাকালে তর্জনীভিত্তিক অডিও-ভিডিও প্রদর্শিত হবে। এরপর থিমভিত্তিক আলোচনা করবেন ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য অংশে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেনের ধারণ করা ভিডিওবার্তা প্রচারের মাধ্যমে আলোচনাপর্বের সমাপ্তি হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানপর্বে বন্ধু রাষ্ট্র ভিয়েতনামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ধারণকৃত ভিডিও পরিবেশিত হবে। এরপর ‘মহাকালের তর্জনী’ থিমের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত অডিও ভিজ্যুয়ালে ফুটে উঠবে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের নানা অধ্যায়। পটের গানের উপস্থাপনার মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে অর্কেস্ট্রা মিউজিক, বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে লাইট এবং সাউন্ড শো, দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে। অনুষ্ঠানটি বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের এই অনুষ্ঠান সব টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।