চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য অধিদফতরের দর্শনায় মাদকবিরোধী অভিযান ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ জনের জেল : একজনের বিরুদ্ধে মামলা
দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুরে। উদ্ধার করা হয় গাঁজা। আটক করা হয়েছে নারীসহ ৪ জনকে। পরে ৩ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা করা হলেও গাফ্ফারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ’র নেতৃত্বে পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালান দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর মাঠপাড়ায়। এসময় মাঠপাড়ার রওশন আলী শেখের ছেলে আব্দুল গাফ্ফার শেখের বাড়ি তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ৫০০ গ্রাম গাঁজা। এ ঘটনায় পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় গাফ্ফার শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। একই সময় প্রতিবেশী রশিদুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়কালে আটক করা হয় আমেনা খাতুন (৪৫) ও আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে তুহিনকে (২৬)। আটককৃত তুহিন ও আমেনার কাছ থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণিক চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজের ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাজির করা হয় আটককৃতদের। গাঁজা বিকিকিনির অপরাধে আমেনা খাতুনের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা এবং তুহিনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সহ ২ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত করেন আদালতের বিচারক সুরাইয়া মমতাজ। এদিকে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের একই দল সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেল ক্রসিং থেকে আটক করে বাগানপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম গফরকে (৩৫)। গফরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নেশাজাতীয় ইনজেকশন। গফরকে ঘটনাস্থলেই চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। নেশাজাতীয় ইনজেকশন রাখার অপরাধে গফরকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন আদালতের বিচারক হাবিবুর রহমান।