স্টাফ রিপোর্টার: শীতকাল শেষ। এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রা। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এসে তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি ছাড়ালো। মার্চেই তা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যাওয়ার আভাস। এপ্রিলে ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে, দেশে বয়ে যেতে পারে তীব্র তাপপ্রবাহ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এই আভাস দেয়া হয়েছে। অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাস ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ফরিদপুরে ৩৪ দশমিক ৬, রাজশাহী ও খুলনায় ৩৪ দশমিক ৫, মংলা, কুমারখালী ও পটুয়াখালীতে ৩৪ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গা, ইশ্বরদী, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর ও তাড়াশে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো শ্রীমঙ্গলে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মার্চের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘মার্চে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুই দিন মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় এবং দেশের অন্যত্র দুই থেকে তিনদিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে প্রথমে ৩৬ ডিগ্রি পরবর্তীতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৩৮ ডিগ্রিতে ঠেকতে পারে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এপ্রিলেও হতে পারে। তবে এক থেকে দুটি নি¤œচাপের আভাস আছে। ফলে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন বজ্রসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় এবং দেশের অন্যত্র চার থেকে পাঁচ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় হতে পারে। এপ্রিলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) এবং অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ