রাজপথে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দাবি আদায়ের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ : অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
স্টাফ রিপোর্টার: পরীক্ষা দেয়ার দাবিতে রাজপথে নেমেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুমিল্লা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ, অবস্থান ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাদানকল্প গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীরা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। কয়েকটি স্থানে মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। এতে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হন। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করে। তবে সন্ধ্যায় কিছু ছাত্রকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। তবে দাবি আদায় না হলে আবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এদিকে স্থগিত পরীক্ষাগুলোর নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নতুন সময়সূচি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মার্চের মধ্যেই আবাসিক হল খুলে দেয়া এবং দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর দাবির সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে পরীক্ষার দাবি। শিক্ষাজীবন রক্ষার দাবিতে দ্রুত পরীক্ষা শুরুর এ আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ মার্চ খুলবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত শনিবার নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষা শুরুর দাবিতে অবস্থান নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জমায়েত শিক্ষার্থীদের ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। পরে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থানকালে অন্তত ৫ জনকে আটক করে পুলিশ এবং সেখান থেকে তাদের আবারও ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রাজুর ভাস্কর্যে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম তাদের সেখানে দাঁড়াতে দেয়নি। একই দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করেন ঢাবির উপাদানকল্প গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ তাদের উঠিয়ে দিলে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে উঠিয়ে দেয়া হলে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়। তাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই হামলা করে পুলিশ। দুপুরে এ বিষয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ বলেন, শাহবাগ থেকে আমরা ১০-১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। এদের মধ্যে ২-৩ জন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। তাদের অভিভাবকদের খোঁজ নেয়া হয়েছে। তারা এলেই আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত সব পর্যায়ের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ মে থেকে সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। ২০১৯ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ২য় বর্ষ পরীক্ষা এবং ২০১৮ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষাসহ সব প্রফেশনাল কোর্সের ২৪ মে শুরু হবে। এছাড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষে ভর্তির কার্যক্রম ৮ জুন শুরু হবে। সংশোধিত সময়সূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (িি.িহঁ.ধপ.নফ) প্রকাশ করা হয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়ে রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তমালিকা হক বলেন, ২০১৯ সালে আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও সেই পরীক্ষা নেয়া হয়নি। পরীক্ষার তারিখ দেয়াতে আশার আলো দেখছিলাম, ঠিক তখনই থমকে গেল সব। তিনি বলেন, আমাদের দুটি পরীক্ষা হয়েছে। বাকি ছিলো আরেকটা। পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় এটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সুমন বলেন, হল খোলা নিয়ে আমাদের কোনো দাবি নেই। আমরা মেসে থেকে এতোদিন পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। বাকিগুলোও দেব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় অবরোধকারীদের কয়েকজন আহত হন। তাদের নাম জানা যায়নি। সড়ক অবরোধে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজি মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, ইসলামিয়া কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরীক্ষা স্থগিত করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্মারকলিপি প্রদানকালে চবি প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাবকে মারধর করা হয়েছে। ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শিহাব জানান, কথা বলার একপর্যায়ে হঠাৎ ছাত্রলীগ কর্মী মুজাহিদ চৌধুরী তার ওপর চড়াও হয়। পরীক্ষা স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিতে গেলে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় শিহাব ও অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র দেয়ান তাহমিদকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। একপর্যায়ে শিহাবকে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, তারা সবাই সাধারণ ছাত্র হিসাবে পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়। পরে আমরা সমাধান করে দিয়েছি।
সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষর্থীরা। দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। সেখানে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা দেশে রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- চলছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান তারা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরীর চৌহাট্টার সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কলেজ সংলগ্ন সড়ক আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হাটবাজার, সিনেমাহল, অফিস-আদালতসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে দুপুর ২টার দিকে তারা অবরোধ উঠিয়ে নেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মো. রাসেল জানান, শিক্ষার্থীরা যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য বিএম কলেজ এলাকায় পুলিশ সতর্কাবস্থানে রাখা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরুর দাবিতে যশোরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সেøাগান সংবলিত পোস্টার-ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশ অবস্থান নিয়ে পরীক্ষার চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘দাবি মোদের একটাই, পরীক্ষা চাই’, ‘শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার চাই’, ‘হাট-বাজারে মানুষের ঢল, বন্ধ কেন পরীক্ষার হল’, ‘সেশনজটের কবলে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এমন সব সেøাগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনকে ৩ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
দুপুরে সরকারি সা’দত কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত আমরা মানতে পারছি না। আমাদের জীবন থেকে একটি বছর চলে গেছে। আবার যদি মে মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় তাহলে দেড় বছর চলে যাবে। সেশন জটে আমরা পড়ে যাচ্ছি। স্থগিত পরীক্ষাগুলো অবিলম্বে নিতে হবে। এছাড়া মার্চের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হলগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, অনার্স চতুর্থবর্ষের লিখিত পরীক্ষা ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। এখন শুধু বাকি মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা। কিন্তু হঠাৎ সব পরীক্ষা স্থগিত করায় তাদের শিক্ষাজীবন বাধার মুখে পড়েছে। পরীক্ষা না হওয়ায় তাদের শিক্ষাজীবন থমকে আছে এবং তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এর আগে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেখানে হাজির হন।
দুপুরে নেত্রকোনা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দিলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে নিউজ২৪ ও সংবাদের সাংবাদিক সোহান আহমেদ ও তিন শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ মার্চ খুলবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত শনিবার নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সেদিন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে এ নিয়ে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান। ‘বঙ্গবন্ধুর সমাজ ও রাষ্ট্র ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা কী ১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব, নাকি আরও কয়েকদিন সময় নিতে হবে- এটি আসলে সার্বিক করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের কোনো ভুল সিদ্ধান্তের জন্য যেন পরিস্থিতি খারাপের দিকে না যায় এবং সেই সফলতা প্লান না হয় সে বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রাখা দরকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে তাদের সহযোগিতা কামনা করছি। মাত্র তিনটি মাস। এ সময়টায় আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট নেই। তাই তাদের এ ক্ষেত্রে সমস্যা কম।