চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের কউন্সিলর পদে ৯ প্রার্থীর ৮ প্রার্থীই মাধ্যমিক পার হতে পারেননি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৯ প্রার্থীর ৮ প্রার্থীই মাধ্যমিকের গ-ি পার হতে পারেননি এবং ১ প্রার্থী শুধু এসএসসি পাস করেছেন। নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীরা এসব তথ্য প্রদান করেছেন। তবে, ৯ প্রার্থী কারোর নামেই কোথাও কোনো মামলা নেই। ৯ প্রার্থীই নির্বাচনে ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্ব্বোচ ১ লাখ টাকা ব্যয় করবেন বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।
আগামী ৩০ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৩ জন। এরমধ্যে ভিমরুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৮৮ (পুরুষ-মহিলা), পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৩১৭ (পুরুষ-মহিলা), আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৬০ (পুরুষ) এবং কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৮ (মহিলা) ভোটার রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৬০ হাজার টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। এ টাকা নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি ৮ম শ্রেণী পাস। নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ (উপহার), ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মালেক ৭০ হাজার টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি ৮ম শ্রেণী পাস। নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা, ৪ আনা স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন ৫০ হাজার টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি ৮ম শ্রেণী পাস। ১ ভরি স্বর্ণ, ৫০ হাজার টাকা করে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ টাকা ও কৃষি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী মুনছুর আলী নির্বাচনে ১ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি ৮ম শ্রেণী পাস। নগদ ২৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫২ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং কৃষি জমি ৪ বিঘা ও অকৃষি জমি ১২ শতক রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী মোমিনুর রহমান নির্বাচনে ১ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি ৮ম শ্রেণী পাস। ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যবসার পুঁজি, ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে, ১টি মোটরসাইকেল, স্বর্ণ ৫ ভরি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৮০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী রমজান আলী চান্দু নির্বাচনে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি ৮ম শ্রেণী পাস। নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২ হাজার টাকা, ১টি মোটরসাইকেল, স্বর্ণ ৩ ভরি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ১ লাখ ও আসবাবপত্র ৮০ হাজার টাকা রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী গোলজার হোসেন পিন্টু নির্বাচনে ১ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি এসএসসি পাস। নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে ১ হাজার টাকা, স্বর্ণ দেড় ভরি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৬০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৭৫ হাজার টাকা এবং আইনজীবী সহকারী থেকে আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন নাহার নির্বাচনে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি স্বশিক্ষিত। নগদ ১ লাখ টাকা, স্বর্ণ ২ ভরি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪০ হাজার টাকা রয়েছে।
হলফনামায় কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন নির্বাচনে ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করবেন। এ টাকায় নির্বাচনে প্রচারণা, পোস্টার ও শ্রমিকদের ব্যয় নির্বাহ করবেন। তিনি নিরক্ষর। নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১ ভরি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ২০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ২৮ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিল্লাল হোসেন বেল্টু ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন কমিশন সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। পরে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করলে বিল্লাল হোসেন বেল্টুর স্ত্রী কামরুন নাহার ও রমজান আলী চান্দু প্রার্থী হন। এর পূর্বে নির্বাচনে আরও ৭ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।