চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণের আর মাত্র দুদিন বাকি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণের আর দুদিন বাকি। ৩০ জানুয়ারি এলাকার ৪টি ভোট কেন্দ্রে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণকারী সাবেক কাউন্সিলরের স্ত্রী মোছা. কামরুন নাহারসহ ৯জন। তিনি তার স্বামী প্রয়াত বিল্লাল হোসেন বেল্টুর নির্বাচনী প্রতীক স্ক্র ড্রাইভার নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯ জনের মধ্যে রমজান আলী চান্দু পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৩ জন। এর মধ্যে নারী ৪ হাজার ২২ জন ও পুরুষ ৩ হাজার ৯শ ৮১জন। এ হিসেবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার ৪১জন বেশি। কাউন্সিলর পদে বর্তমান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম টেবিল ল্যাম্প প্রতীক, মুনসুর আলী মনো ডালিম প্রতীক, গোলজার হোসেন পিণ্টু পানির বোতল প্রতীক, মোমিনর রহমান মোমিন পাঞ্জাবি প্রতীক, জয়নাল আবেদীন গাজর প্রতীক, আলমগীর হোসেন আলম ব্রিজ প্রতীক, আব্দুল মালেক উট পাখি প্রতীক ও কামরুন নাহার স্ক্র ড্রাইভার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন রমজান আলী চান্দু। তিনি ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়েছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক সমস্যার কথা বলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন।
বিল্লাল হোসেন বেল্টু ছিলেন ভিমরুল্লার বাসিন্দা। তিনি পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি তার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হন। ভোট গ্রহণের কথা ছিলো ২৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পুনরায় তফশিল ঘোষণা করা হয়। এ তফশিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকালে মৃত্যুবরণকারী বিল্লাল হোসেন বেল্টুর স্ত্রী কামরুন নাহার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যেমন প্রথম বারের মতো নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে, তেমনই বর্তমান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম ও মনুসুর আলী মনো ছাড়া বাকি অন্য প্রার্থীরাও এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন প্রথমবারের মতো। কেদারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভিমরুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ করা হবে। কেদারগঞ্জ মালোপাড়ার ভোটের সংখ্যা মোট ৮শ ৮৫, বুজরুকগড়গড়ি সিঅ্যান্ডবিপাড়ার ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৩ জন, ভিমরুল্লার ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৭শ ৮৮ ও হাটকালুগঞ্জের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩শ ১৭ জন। প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ অঞ্চলভিত্তিক ভোটের অংক কষে আঞ্চলিকতারও টানে ভোট নেয়ারও চেষ্টা করছেন।